সালথা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের জের ধরে বখাটেদের চাকুর আঘাতে খুন হন কাসেম বেপারী (২৮) নামে এক যুবক। এ হত্যাকে পুঁজি করে স্থানীয় খায়রুল বাশার আজাদ নামের এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় উপজেলার বালিয়াগট্টি, দোহার গট্টি, বড় বালিয়া, ছোট বালিয়া, পাটপাশা, জয়ঝাপ সহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষকে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে ও ঘর-বাড়ি লুটপাট এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
এছাড়া দোকান-পাট, ঘরবাড়ি লুটসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এরই ধারাবাহিকতা রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি, মেম্বার গট্টি সহ আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল মো. আসাদুজ্জামান শাকিল তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তি হলেন- চাঁদাবাজির মূলহোতা হিসেবে অভিযোগ উঠা পাটপাশা বালিয়া গ্রামের মৃত মমিন মাতুব্বরের ছেলে জাহিদ মাতুব্বর (৪৫), আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মৃত হাসেম মাতুব্বরের ছেলে নুরুদ্দীন মাতুব্বর ওরফে নুরু মেম্বার (৬০), মেম্বারগট্টি গ্রামের মৃত রহমান মাতুব্বরের ছেলে ও সাবেক ইউপি মেম্বার রফিক মাতুব্বর (৫০), দোহারগট্টি এলাকার আওয়াল মাতুব্বরের ছেলে আকরাম মাতুব্বর (৩৫), ছোট বালিয়া গ্রামের মালেক শেখের ছেলে ফিরোজ শেখ (৩৫)। ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী রবিবার দিবাগত রাত ৩ টা থেকে রাত সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঁদাবাজ ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।