নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে নানান আয়োজনে পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১২২তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে ।
এ উপলক্ষে বুধবার (০১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুরে পারিবারিক কবরস্থানে কবির সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে জেলা প্রশাসক ও জসিম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ার, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শেখ সামাদ, প্রফেসর আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম লাল, মফিজ ইমাম মিলন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পল্লীকবি তার লেখাতে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের কাহিনি তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বিশ্বে বাংলা সাহিত্যকে অনেক উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। সাহিত্য ক্ষেত্রে তার অবদান সবাই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
কবি জসীম উদ্দীন বাংলা সাহিত্যে একজন আধুনিকমানের শক্তিশালী কবি ছিলেন। গ্রাম-বাংলার মাটি ও মানুষের সহজ সরল জীবনযাত্রা ফুটে উঠেছে তার কবিতা, গান, গল্প ও উপন্যাসে। এজন্য তাকে পল্লীকবি বলা হয়।
তার লেখা অসংখ্য পল্লিগীতি এখনো গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। যেমন- আমার হার কালা করলাম রে, আমায় ভাসাইলি রে, বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে ইত্যাদি।
কবি জসীম উদ্দীন রচিত ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ও ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর অন্যতম।
বাংলা সাহিত্যের এই অন্যতম প্রাণপুরুষ ১৯০৩ সালে ফরিদপুরের সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুতালয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরন করেন।