পর্ণোগ্রাফি চক্রের খপ্পরে পরে বারো লাখ টাকা খোয়ালেন প্রবাসীর স্ত্রী, আটক ২

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রবাসীর এক স্ত্রী পর্ণোগ্রাফি চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রায় বারো লাখ টাকা খুইয়ে দিশে হারা হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে পর্ণোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসূল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দু’জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

আটকৃতরা হলেন; আলফাডাঙ্গা উপজেলার সিকিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে কাকলী বেগম (৩২), অপরজন কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের মো. ইউসুফ খানের মেয়ে তানিয়া খানম (৩২)। মামলা নং ৯।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে প্রবাসী মিলন শিকদারের স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের সাথে তানিয়া খানম সম্পর্কে বিয়াইন হওয়ার সুবাদে তাদের বাড়িতে যায়। পরে তানিয়া খানম ২২ সালের পহেলা জানুয়ারিতে সোনিয়ার স্মার্ট ফোন নিয়ে ব্যক্তিগত ভিডিও অন্য মোবাইলে নেয়ার পর সুপার এডিটিং করে অশ্লীল ভিডিও তৈরী করে। এরপর থেকে ওই ভিডিও নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ প্রতারক চক্রের আরো ৪ সদস্য রয়েছে তারা হলেন; গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে সেলিম খান ওরফে সুমন শিকদার (৩৩), তাঁর স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২), একই ইউনিয়নের নয়নীপাড়া গ্রামের মুক্তার মোল্লার ছেলে মুজাহিদ (২৫), অপরজন কুমিল্লা জেলার মুরদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. বদিউল আলম তুহিন (৩৪)। এরা সকলে একটি চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়।

বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক শামীম দেওয়ানের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা থেকে ২ প্রতারক নারীকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে অপর আসামী বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সোনিয়া আক্তার বলেন, তানিয়া খানম সম্পর্কে আমার বিয়াইন হয়। সে সম্পর্কে আমার শ্বশুর বাড়ি এসে মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ভিডিও নিয়ে সুপার এডিটিং করে। এর পর থেকে সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ডকুমেন্টস অনুযায়ী ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে এখন আরো১০ লাখ টাকা দাবি করে। উপায় অন্তর না পেয়ে গত (২২.১২.২৪) থানায় ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছি।

উপপরিদর্শক মো. শামীম দেওয়ান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান পরিচালনা করে তাদের দু’জনকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী রোজ ভালী গার্ডেন থেকে আটক করা হয়। আমাদের যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যায়। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *