নাজমুল হাসান নিরব ,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুব্বরের সমর্থকদের বাড়িতে এই হামলা ও ভাঙচুর করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সমর্থকরা।
এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ৮৫ বছর বয়সি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হামিদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতা সাহিদুজ্জামান সাহিদের সমর্থকরা। তখন ওই হামলার প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। ওই সংঘর্ষে সাহিদের সমর্থকরা বেশি মারধরের শিকার হন। এরপর থেকে সাহিদের সমর্থকরা হারুনের সমর্থকদের উপর হামলা করার পরিকল্পনা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা সাহিদের দুই শতাধিক সমর্থক দের্শীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হারুনের সমর্থকদের বসতবাড়ি ঘিরে হামলা চালালে প্রথমে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে হারুনের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে দেওয়া হয়। এ সময় মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ আলম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাফর ফকির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডিজু শেখ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুমান ও যুবদল নেতা সজিবের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুব্বর বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহিদের সমর্থকরা। আমি এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহিদুজ্জামান সাহিদ বলেন, আমি এলাকাই যাই না। আমি ফরিদপুর শহরে থাকি। আমার কোনো দলপক্ষ নেই। আজকের হামলার ঘটনার বিষয় আমি কিছুই জানি না। ওরা শুধু শুধু আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছে।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান সাকিল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।