একে এম গিয়াসউদ্দিন, ভোলা:
ভোলায় ঘন কুয়াশায় টানা কয়েক দিন সকাল থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের আলো। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে প্রকৃতি সাথে হিমবাহ বাতাস। তীব্র শীতের কষ্টে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ।
তবুও কুয়াশা আর শীত উবপেক্ষা করে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সন্ধ্যার পর কমে যাচ্ছে যানবাহন, ফাঁকা হচ্ছে শহর, বন্দর, হাট বাজারের রাস্তাঘাট। শীতের তীব্রতায় এখন ঘর মুখো মানুষ।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে ভোলার মানুষ। বিপর্যস্ত জনজীবন। হঠাৎ প্রচন্ড শীতের তীব্রতায় ছড়িয়ে পড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। গত দুদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে জেলার ওপর দিয়ে। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিম-শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা ক্রমশঃই তীব্রতর হচ্ছে। কনকনে হাঁড় কাপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
স্বরজমিনে দেখা যায় প্রচন্ড ঠান্ডায় সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, কোল্ড এলার্জি, বাত ব্যাথা, স্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভির করছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা এখনও মিলছেনা ভোলার অদূরবর্তী চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এতিম অসহায় শীতার্তদের।
ভোলার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ ভোলার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রয়েছে। তবে তাপমাত্রা আরও ২/১ ডিগ্রি নীচে নামতে পারে। আগামী কয়েকদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্নসহ ঘন কূয়াশা থাকতে পারে।